আমরা কারো দিকে আঙুল তুলবো না , একসাথে কাজ করতে হবে : সাংসদ অপরূপা পোদ্দার

3rd December 2020 6:40 pm হুগলী
আমরা কারো দিকে আঙুল তুলবো না , একসাথে কাজ করতে হবে : সাংসদ অপরূপা পোদ্দার


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  তৃনমূলের গোষ্ঠী কোন্দল অব্যাহত তারকেশ্বরে। তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের পাল্টা প্রতিবাদ সভায় আহ্বায়ক বিধায়ক রচপাল সিং ও উত্তম কুন্ডু। চারদিন আগে গত রবিবার তারকেশ্বরে তৃণমূলের সভায় বিধায়ক কে আমন্ত্রণ না জানানোয় ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিধায়ক। সেদিনের সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যান ব্যানার্জী সহ বেচারাম মান্না, আরামবাগের সাংসদ অপরুপা পোদ্দার, জেলা তৃনমূল সভাপতি দিলীপ যাদব সহ অনান্য নেতৃবৃন্দ। সেদিন বিধায়কের কার্যালয় থেকে ঢিল ছোঁড়া দুরত্বে তারকেশ্বর বাস স্ট্যান্ডে হয়েছিল তৃনমূলের সভা। অথচ সেই সভায় আমন্ত্রণ জানানো হয়নি বিধায়ক কে। এমনকী ফ্লেক্সে তার নাম লেখা হয়নি। পরে সংবাদমাধ্যমের খবরের জেরে তড়িঘড়ি ফ্লেক্সে নাম লেখা হয়েছে। বিধায়কের আক্ষেপ দশবছরের বিধায়ক থাকা সত্বেও তাঁকে আমন্ত্রণ না জানানোর জন্য অপমানিত বোধ করেছেন। বিষয়টি নিয়ে তৃনমূল সুপ্রিমো মমতা কে জানাবেন। নির্বাচনের আগে আজকের পাল্টা সভা কে ঘিরে আর স্পষ্ট হল তারকেশ্বরের গোষ্ঠী কোন্দল চরমে। এদিন সভাতে আমন্ত্রণ উপস্থিত ছিল তারকেশ্বরের বিদায়ী ভাইস চেয়ারম্যান উত্তম কুন্ডু ও আরামবাগের সাংসদ অপরুপা পোদ্দার। বিধায়কের শরীর অসুস্থতার কারনে সভায় বক্তব্য না রাখতে পারেননি।  উত্তম কুন্ডুর এই সভার আয়োজন নিয়ে খুশি। উত্তম কুন্ডু জানিয়েছে, তারকেশ্বরে গোষ্ঠীকোন্দল নেই। সেদিন বিধায়ক কে ডাকা হয়নি বলে আজকের সভা।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।